Time: 04:35 pm
Sunday, 14-Sep-2025

History

আগরপুর কলেজ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

সর্বজনীন মানসম্মত শিক্ষাই মানুষকে সকল প্রকার অনগ্রসরতা থেকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিতে পারে, সর্বজন স্বীকৃত এ উপলব্ধি থেকে এলাকার সর্ব স্তরের জনগোষ্ঠীর ব্যপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে 1994 সালে 6 অক্টোবর অরাজনৈতিক ও ধুমপান মুক্ত পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষার প্রতিশ্রুতিতে আগরপুর কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা-বরিশাল মহা সড়কের বাটাজোড় স্টেশন থেকে মাত্র পাঁচ কিলো মিটার পূর্ব দিকে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে কলেজটির অবস্থান। কলেজ ক্যাম্পাসের মোট জমির পরি মান 7 একর। 5টি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন এবং শিক্ষকদের পরিবারসহ বসবাসের জন্য 3টি আবাসিক ভবন বিদ্যমান। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক শাখা এবং ডিগ্রি পর্যায়ে বিএস-সি,বিএ,বিএসএস এবং বিবিএস। এছাড়া বাংলাদেশ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এইচএসসি এবং বিএ/বিএসএস কোর্সের স্টাডি সেন্টার বিদ্যমান।সুসজ্জিত আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণাগার, কম্পিউটার ল্যাব, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, বিশাল খেলার মাঠ এবং দক্ষ শিক্ষক মন্ডলী এ কলেজের গৌরব। ভর্তির পরেই 15/20 জন শিক্ষার্থীর জন্য এক জন গাইড শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত ফলাফলের ক্রমোন্নতির অঙ্গীকার নিয়ে নিবিড় তদারকি, মোবাইলের মাধ্যমে অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ এবং বাড়িতে গিয়ে সরেজমিনে শিক্ষার্থীর অধ্যয়নের অগ্রগতি তদারকি করা হয়। ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তিকালীন প্রাপ্ত ফলাফলের চেয়ে পরবর্তী পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের অগ্রগতি লক্ষ্যণীয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কলেজটি বরিশাল শিক্ষাবোর্ড এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পাবলিক পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করছে।

#

Infrastructure

গাইড টিটিং পদ্ধতি

গাইড টিচিং পদ্ধতি এলাকার সুবিধা বঞ্চিত হত দরিদ্র প্রান্তিক চাষী পরিবারের ছেলে-মেয়েদের বিশেষ করে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে অবদান রাখার লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালের ৬ই অক্টোবর আগরপুর কলেজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যে কলেজটি প্রতিষ্ঠা কালীন লক্ষ্য ব্যর্থ হয়। শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার অন-অগ্রসরতা এ ব্যপারে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য শিক্ষক ও গভর্নিংবডির সম্মানিত সদস্যদের যৌথ সভায় একটি টাইম বাউন্ড এ্যাকশন প্লান প্রণয়ন করা হয়। উক্ত কর্মসূচীর মাধ্যমে কিছুটা অগ্রগতি হলেও কার্যত সফলতা অর্জিত হয়নি। পরবর্তীতে এ সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মশালায় শিক্ষক, গভর্নিং বডির সম্মানিত সদস্য, অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী সহ বিভিন্ন স্টেইক হোল্ডারগণেরা উপস্থিত ছিলেন। উক্ত কর্মশালায় কনসেপ্ট পেপার গ্রহন ভিত্তিক আলোচনান্তে নিম্নোক্ত সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করা হয়। ১. ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে অনুপস্থিতি। ২. উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ড্রপ আউটের হার বৃদ্ধি। ৩. পরীক্ষায় অসদোপায় অবলম্বনের প্রবনতা। ৪. উচ্চ শিক্ষার সুবিধা গ্রহনে অযোগ্যতা। ৫. ইংরেজী বিষয়ে দূর্বলতা। ৬. কম জি,পি,এ নিয়ে ভর্তি হওয়া। ৭. বিজ্ঞান শিক্ষায় অনাগ্রহ। ৮. গাইড বইয়ের প্রতি অনাগ্রহ। এ সমস্যা সমাধানে বর্নিত সেমিনারে নিম্নোক্ত সুপারিশ সমূহ প্রণয়ন করা হয়। ১. ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা। ২. কলেজ পর্যায়ে নিবিড় তদারকির ব্যবস্থা। ৩. অভিভাবকদের সাথে শিক্ষকদের সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন। ৪. মেধাবী ও দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করা। ৫. দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরন করা। ৬. ইংরেজী বিষয়ের উপর অতিরিক্ত ক্লাস এর ব্যবস্থা করা। ৭. হাউজ ভিজিটিং কার্যক্রম চালু করা। উপরোক্ত সুপারিশ মালা বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের কে নিবিড় তদারকি ও ফলাফল উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষক পরিষদের সভায় গাইড টিচিং পদ্ধতির উদ্ভাবন করা হয়। এ পদ্ধতিতে ১৫/২০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে এক জন শিক্ষকের অধীনে ভাগ করে দেয়া হয় এবং প্রক্রয়িাটি একটি ফরমেটের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। গাইড শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য ১. গাইড শিক্ষকের অধীনে ন্যস্তকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজে নিয়মিত উপস্থিত নিশ্চিত করা। ২. গাইড বুকে নিয়মিত স্বাক্ষর করা। ছাত্র-ছাত্রীদের আগমন এবং প্রস্থান নোটবুকে লিখে রাখা। ৩. দূর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করা এবং সমাধানের পরামর্শ প্রদান করা। ৪. টিউটেরিয়াল, অর্ধবার্ষিক, বার্ষিক এবং বাছনিক পরীক্ষার ফলাফল সংরক্ষন করে অভিভাবকদের অবহিত করা। ৫. কোন ছাত্র-ছাত্রী কলেজে অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করা। ৬. অভিভাবকদের সাথে মাসিক সমন্বয় সভা করা। ৭. সকল পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উর্ত্তীনের সুপারিশ করা। ৮. ছাত্র-ছাত্রীদের ইউনিফরম নিশ্চিত করা। ৯. শৃংখলা ভংগকারীর বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা। ১০. দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সংস্থার জন্য বিভিন্ন বৃত্তির ব্যবস্থা করা। ১১. ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ী পরিদর্শন করে পিতা-মাতার সাথে পরিচিত হওয়া। ১২. চুড়ান্ত পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত গাইডভূক্ত ছাত্র-ছাত্র দের নিবিড় তদারকি করা। ১৩. ইংরেজী লেখাপড়ার ব্যাপারে ছাত্র-ছাত্রীদের বেশী চাপ সৃষ্টি করা। ১৪. অধ্যক্ষ কর্তৃক প্রতি ১৫ দিন পর পর গাইড শিক্ষকদের নিয়ে অগ্রগতির পর্যালোচনা করা। সফলতা সমূহ: ১. কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি বেড়ে যায়। ২. ড্রপ আউটের সংখ্যা কমে যায়। ৩. অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন হয়। ৪. ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষদের সাথে মাঝে আন্তরিক সম্পর্ক তৈরী হয়। ৫. সকল ক্লাস করতে ছাত্র-ছাত্রীরা বাধ্য হয়। ৬. ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনায় অধিক মনোযোগী হয়। ৭. অভিভাবকরা কলেজে এসে গাইড শিক্ষকের সাথে দেখা করে সন্তান সর্ম্পকে তথ্য প্রদান করেন। গাইড টিচিং পদ্ধতি অত্র কলেজের জন্য একটি মাইল ফলক। ভালো ফলাফলের জন্য গাইড টিচিং পদ্ধতির জন্য বিকল্প নেই। অত্র কলেজে গাইড টিচিং পদ্ধতি ভবিষ্যতেও অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

#

© 2025, Designed & Developed by Sheba Digital Ltd.