বিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস প্রতিষ্ঠানকাল: ১২/১২/১৯৯৫ইং প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জ, শীতালক্ষ্যা নদীর পূর্বতীরে অবস্থিত প্রাচীন জনপথ বন্দর উপজেলা বন্দর ইউনিয়নের মিরকুন্ডী গ্রামে। মিরকুন্ডী, বালুচর, তমোদরদী, ছনখোলা, চিনারদী নয়ানগর, মুকফলদী, বিবিজোড়া, আইছতলা কলাবাগ, লম্বাদরদী, সাবদী, রোস্তমপুর, চানপুর এলাকার বিদ্যুৎসাহী ব্যাক্তিগণ ছেলেমেয়েদের শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে একটি হাই স্কুল স্থাপনের জন্য স্লোগান দেওয়া হয়। মিরকুন্ডীতে স্কুলচাই। মিরকুন্ডীতে স্কুল চাই। জনাব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন সাহেবকে নির্বাচনে ফেল করার কারণে হোসেনপুর, চেলারচর, রামগোবীন্দের গাঁও ও একরামপুর এলাকার সাথে জগড়া হয়। এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এলাকার গন্য মাণ্য ব্যাক্তি বর্গ সবাই স্কুল করার জন্য এগিয়ে আসেন। এগিয়ে আসেন এলাকার বিশিষ্ঠ শিক্ষানুরাগী মিরকুন্ডী গ্রামের জনাব আব্দুল করিম সাহেব। পরবর্তীতে জমিদান ও অর্থনৈতিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন তাঁরই সুযোগ্য সন্তান জনাব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবুল। তার অকুন্ঠ সমর্থনে এগিয়ে আসেন। হাজী মুজিবর রহমান, মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান প্রধান, ডাঃ মোঃআফতাব উদ্দিন, মোঃজয়নাল আবেদীন, মোঃ মোজাম্মেল হক, মোঃ জালালউদ্দিন, মোঃ বিল্লাল হোসেন, মোঃকামরুল হাসান জজ মোল্লা, মোঃ মোজাম্মেল হক মোল্লা, মোঃ গিয়াসউদ্দিন, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (ছনখোলা), মোঃ নাজির প্রধান, জুলহাস মিয়া, মব্বত আলী প্রধান, মোঃ রাজা মিয়া, মোঃ আবুল হোসেন (চাচা), বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আঃ আজিজ, আবুল জাহের চেয়ারম্যান, মোঃজাহের আলী প্রধান, মোঃ তাহের আলী মেম্বার, মোঃ রফিকুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ প্রধান, মোঃ নুর হোসেন সরদার, আঃ হান্নান, মোঃ আওলাদ হোসেন, আসাদ আলী, মোঃ অখিল উদ্দিন, মোঃ আক্তার হোসেন, সহ এলাকার আরো অনেকে। ১২/১২/১৯৯৫ইং সন থেকে মিরকুন্ডী সরকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মিরকুন্ডী উচ্চবিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করেন। অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মোঃ এমদাদ হোসেন। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্ঠা সহ এলাকাবাসীর সক্রিয় উদ্যেগে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের প্রাথমিক কার্যক্রম চালিয়ে যান। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একজন দক্ষ ও যোগ্য প্রধান শিক্ষক হিসেবে জনাব মোঃ আইয়ুব আলী ভূইয়া সাহেবকে গত ০১/১২/১৯৯৬ইং সালে নিয়োগ প্রদান করেন। তাঁর যোগদানের পর থেকেই বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি পরিবর্তন শুরু হতে থাকে। এলাকাবাসী খুঁজে পায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পথ। উনি এসেই বিদ্যালয়ের অনুমতি প্রাপ্তির সমস্ত শর্তাবলীর কাগজ পত্র ব্যবস্থা করে। ১৯৯৭ইং সালে প্রাথমিক অনুমতির আবেদন করেন। ১৯৯৮ইং থেকে প্রাথমিক অনুমতি ও পরবর্তীতে ২০০১ইং সালে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করেন। ২০০২ইং সাল থেকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এম.পি এডভোকেট আবুল কালাম সাহেবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি নিম্ম মাধ্যামিক পর্যায়ে প্রথম এম পি ও ভুক্তি লাভ করেন এবং ২০১০ইং সালে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এম.পি আলহাজ্ব নাসিম ওসমান সাহেবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি মাধ্যামিক পর্যায়ে এম.পি.ও ভুক্তি লাভ করেন । তারপর প্রধান শিক্ষক জনাব মো: আইয়ুব আলী ভূইয়া সাহেবের সততা, নিষ্ঠা ও অক্লান্ত পরিশ্রম ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও উন্নয়ন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মাঝে ২০১২ সালে এস এস সি পরীক্ষায় ১০০% ফলাফল অর্জন করায় BSB ফাউন্ডেশন কর্তৃখ নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয় এবং জনাব মো: আইয়ুব আলী ভূইয়া সাহেব শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়। বিদ্যালয়ের আজকের এই মনোরম পরিবেশের অন্যতম দাবিদার হলেন প্রথম প্রয়াত এম.পি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে. এম নাসিম ওসমান সাহেব এবং বর্তমান এম.পি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে এম সেলিম ওসমান সাহেব। তবে উক্ত এম.পি মহোদয় গনের সাথে যোগাযোগের সূত্র ছিল বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত আলহাজ্ব আবুল জাহের সাহেব ও বর্তমান চেয়ারম্যার আলহাজ্ব এহসান উদ্দিন আহমেদ সাহেব। পরিশেষে বলতে হয় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বিনয়ী স্বভাবের মানুষ জনাব মো: আক্তারুজ্জামান বাবুল সাহেবের জমিদান, নগদ অর্থ ও অক্লান্ত পরিশ্রম ও শিক্ষকবৃন্দের আন্তরিক সহযোগিতায় আজকের এই স্বনামধন্য মিরকুন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়।
© 2025, Designed & Developed by Sheba Digital Ltd.