Time: 10:55 pm
Saturday, 24-May-2025

History

কলেজ নির্মাণের ইতিহাস

১৯৯৪ খ্রিস্টাব্ধ, এইতো সেদিন আমরা কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী নিয়ে এসেছিলাম। ননী গোপালের মিষ্টির দোকানে বসে চা খেতে খেতে ভাবছিলাম কি করা যায়। ভাবনার এক পর্যায়ে আমাদের মনে হয়েছিল নারীর উচ্চ শিক্ষা প্রসারের জন্য বদরগঞ্জ উপজেলায় কোন প্রতিষ্ঠান নেই। সকলে মতামত দিলেন একটি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার। তৃণমূল পর্যায়ে রক্ষণশীল পরিবারের নারী শিক্ষার প্রসারের জন্য নারী শিক্ষার অগ্রদূতি মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার পথ অনুসরণ করে ২০/০৫/১৯৯৪ খ্রিঃ তারিখে বদরগঞ্জ মডেল হাইস্কুল মাঠের মতবিনিময় সভায় বদরগঞ্জ মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় আজিজুল ভাই, আনোয়ারুল ভাই, রুহুল আমিন পাইকাড়, মমিনুর রশীদ, আব্দুর রাজ্জাক ভাই, আফজাল ভাই, ফেরদৌস রহমান সাজু, ফারুক হোসেন, রাজা, মজিবর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন, নগেন্দ্র নাথ প্রমূখের উদ্যোগে অনেক রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী সুধীজনকে উপস্থিত করানো হয়। সভায় বদরগঞ্জ মহিলা কলেজ বাস্তবায়ন কমিটি গঠিত হয়। ১৫ সদস্য বিশিষ্ট বাস্তবায়ন কমিটি ছিল নিম্নরূপঃ ১। জনাব আ.ম.আ কাইয়ুম-সভাপতি, ২। জনাব কাজী খয়রাত হোসেন, সহ-সভাপতি, ৩। জনাব বিমলেন্দু সরকার, সদস্য সচিব ৪। জনাব আব্দুল বারী মন্ডল, সদস্য, ৫। জনাব সাজ্জাদ হোসেন হেনা, সদস্য, ৬। জনাব আজিজুল হক, সদস্য, ৭। জনাব মোবায়দুল হক সরকার, সদস্য, ৮। জনাব আনোয়ারুল হক প্রামানিক, সদস্য, ৯। জনাব আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, সদস্য, ১০। জনাব আবু তালহা মন্ডল, সদস্য, ১১। জনাব মমিনুর রশীদ, সদস্য, ১২। জনাব রুহুল আমিন পাইকাড়, সদস্য, ১৩। জনাব ফেরদৌস রহমান, সদস্য, ১৪। জনাব মনোয়ার হোসেন শাহ, সদস্য, ১৫।জনাব মজিবর রহমান , সদস্য বদরগঞ্জ মহিলা কলেজ বাস্তবায়ন কমিটি কলেজ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য ১৮/০৬/১৯৯৪ খ্রিঃ তারিখে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়। কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য স্থান নির্ধারণের কাজ শুরু হলো। সি.ও রোডের মটর সাইকেল মেকানিক শাহীর দোকানে কাজী খয়রাত হোসেন ভাই বিষয়টি জেনে আমাকে সাহাপুরে তাঁর ৪৫ শত জায়গায় কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাব করেন। আমি কাজী ভাইয়ের এ প্রস্তাবের কথা সবাইকে জানালে সকলে এ ব্যাপারে ইতিবাচক মতামত পোষণ করেন । কলেজ গেট সংলগ্ন প্রয়াত আব্দুর রহমান মামার ০৪ শতক জায়গা ছিল। আজিজুল ভাই ও আমি ওনার বাসায় গিয়ে উক্ত ০৪ শতক জায়গা কলেজকে দান করার প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হয়ে যান এবং তাঁর নিজ খরচে ০৪ শতক জমি কলেজকে রেজিষ্ট্রি করে দেন। কাজী ভাইয়ের ৪৫ শতক ও আব্দুর রহমান মামার ০৪ শতক জমি রেজিষ্ট্রির সময় প্রয়াত আনিছুল হক চৌধুরী (সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও এমপি) উপস্থিত ছিলেন। কলেজ নিবন্ধনের শর্ত হিসেবে ০৩.০০ একর জমি প্রয়োজন ছিল। কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জনাব আ.ম. আ কাইয়ুম ভাই সাহাপুর ছকিমুদ্দিনের ভাঙ্গায় তাঁর ৫০ শতক জমি ও নলিনী চন্দ্র সরকার ১.৯৪ একর জমি রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলের মাধ্যমে কলেজকে দান করেন। কলেজ চত্বরে টেক্সেরহাটের জনাব আতিয়ার রহমান (ভ্যারাল্লী) কে তাঁর ১০ শতক জমির জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি ফুতু চাচার নিকট হতে ক্রয় করে ১২ শতক জমি তাকে প্রদানের শর্তে উক্ত ১০ শতক জমি কলেজকে প্রদান করেন। সর্বমোট ৩.০৩ একর জমি নিয়ে কলেজ প্রথম স্বীকৃতি পায়। উল্লেখ্য যে কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে মজিবর বকশীর বইয়ের দোকানটি কলেজের অস্থায়ী অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পরবর্তীতে কলেজ চত্বরে লালদীঘির আব্দুল গণি মাস্টার সাহেবের ০৭ শতক ও আব্দুল জব্বার ফিল্ডম্যান সাহেবের ০৪ শতক জমি ক্রয় করা হয়। এছাড়াও জাসদ নেতা জনাব মাহামুদ সামছুল আলম সাহেবের নিকট হতে কলেজ সংলগ্ন ১৪ শতক ও জনাব মোঃ লুৎফর রহমান সাহেবের নিকট হতে ০৯ শতক জমি ক্রয় করা হয়। কলেজ প্রতিষ্ঠার অনেক পরে জনাব মোঃ গোলাম মোস্তফা আর্মি ০১ শতক এবং জনাব মোঃ লুৎফর রহমান ০২ শতক জমি কলেজকে দান করেন। বর্তমানে কলেজের মোট জমির পরিমাণ ৩.৪০ একর। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার মহোদয় সাহাপুর মাঠের জনসভায় এলে বদরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব একরামুল হক দুলু ভাইয়ের অনুরোধে তিনি ৫০,০০০/- টাকা (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অনুদান ঘোষণা করেন এবং কলেজ চত্বরে এসে আনুষ্ঠানিক ভাবে ২৩ জুলাই ১৯৯৪ খ্রিঃ তারিখে বদরগঞ্জ মহিলা কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। উক্ত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে কলেজটির নবযাত্রা শুরু হয়। তৎকালীন দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব নলিনী চন্দ্র সরকার কলেজের অবকাঠামো নির্মাণে গাছ, বাঁশ সহ নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। পরবর্তীতে কলেজটি বদরগঞ্জ পৌরসভা এলাকা হলে সেখান থেকেও আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া যায়। কলেজের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রয়াত আনিছুল হক চৌধুরী (সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও এমপি) এর নেতৃত্বে বদরগঞ্জ মডেল হাইস্কুল মাঠে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত মত বিনিময় সভায় অনেক রাজনীতিবিদ, চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। প্রয়াত সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে অনেকেই বদরগঞ্জ মহিলা কলেজকে সাহায্য প্রদানে এগিয়ে এসেছিলেন। সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তীর আহবানে সরকারী প্রাথমিকের শিক্ষকবৃন্দ তাদের একদিনের বেতন প্রদান করেছিলেন। এছাড়াও রাজকুমার প্রসাদ সাহা ও নন্দু প্রসাদ সাহা প্রায় ১৪ বান ঢেউটিন প্রদান করেন, জনাব মোঃ আনিছ সরদার চাচা ১৫শত ইট প্রদান করেন। জনাব ইসলাম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, দোয়ারিকা প্রসাদ, সুশীল আগরওয়ালা, রণজিত দাস, জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, গৌতম সাহা, মানিক ঘোষ, আব্দুল বারেক, আব্দুল করিম, প্রমুখ কলেজকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। বারী ভাই, হেনা ভাই, আব্দুর রাজ্জাক ভাই, মোবায়দুল হক সরকার, মনোয়ার হোসেন ও বর্তমান মাননীয় এমপি মহোদয় জনাব আহসানুল হক ডিউক চৌধুরীসহ অনেকেই কলেজ প্রতিষ্ঠায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। প্রয়াত আজিজুল হক শাহ সাহেব জ্যাঠা আমাকে কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় অনেক সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শকের নিকট মঞ্জুরির জন্য আবেদন করা হলে আমার সাথে আজিজুল ভাই, আনোয়ারুল ভাই, আবু হাশেম ও ফরহাদ হোসেন কয়েকবার বোর্ডে গিয়েছিল। কলেজ পরিদর্শক পরিদর্শন করে আমাদের মঞ্জুরি দিয়েছেন এবং আমরা ছাত্রী ভর্তির অনুমতি লাভ করি। পরবর্তীতে আমি ব্যক্তিগত অপারগতার কারণে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করলে অধ্যক্ষ নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আমি ও আজিজুল ভাই কারমাইকেল কলেজ রংপুরের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জনাব শাহ আলম খন্দকারকে অধ্যক্ষ হওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি শর্ত সাপেক্ষে সম্মতি দিয়েছিলেন। শর্ত ছিল তিনি পর্যাপ্ত সময় দিতে পারবেন না, আমাকে সময় দিতে হবে। ১৪/১১/১৯৯৪ খ্রিঃ তারিখে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। শাহ আলম খন্দকার স্যারের পরামর্শক্রমে ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বর মাসে আমি ও কাজী খয়রাত হোসেন ভাইসহ ঢাকা যায়। ঢাকায় গিয়ে কাজী ভাই রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। তখন আমি একাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষা সচিব) জনাব মোঃ শহীদুল আলম স্যারের শরণাপন্ন হলে, মে ১৯৯৬ খ্রিঃ কলেজটি এমপিও ভূক্তির আদেশ পায় যা ০১ মার্চ ১৯৯৬ খ্রিঃ থেকে কার্যকর হয়। অধ্যক্ষ শাহ আলম খন্দকার স্যারের ৬০ বছর পূর্ণ হলে তিনি ২৩/০২/১৯৯৮ খ্রিঃ তারিখে অবসর গ্রহণ করেন। গভর্ণিং বডি আমাকে পুনরায় ২৪/০২/১৯৯৮ খ্রিঃ তারিখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে। এরই মধ্যে আমি ০১/০১/২০০৪ খ্রিঃ তারিখে উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করি এবং আমি ২৮/০৫/২০১১ খিঃ তারিখে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করি এবং এখন পর্যন্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছি। কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ২১টি বিষয়, ডিগ্রী (পাস) পর্যায়ে ২০টি বিষয় এবং স্নাতক (সম্মান) পর্যায় বাংলা, সমাজবিজ্ঞান, দৰ্শন, ইতিহাস, অর্থনীতি ও প্রাণিবিদ্যা মোট ০৬টি বিষয় অধিভূক্তি পেয়েছে। এখানে প্রায় ১৫০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে ও ৮৯ জন শিক্ষক- কর্মচারি কর্মরত আছেন। কলেজটি অত্র উপজেলায় সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করে আসছে। ২৫ বছরে এ কলেজটি নারী শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ প্রতিষ্ঠান হতে অনেক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ব্যারিস্টার, ব্যাংকার, পুলিশ অফিসার ও জনপ্রতিনিধি ইত্যাদি তৈরি হয়েছে। এরা তাঁদের মেধা ও শ্রম দিয়ে জাতিগঠনে অনবদ্য ভূমিকা রাখছে। একবিংশ শতাব্দির বিশ্বায়নের এ যুগে প্রতিষ্ঠানটি নারীর ক্ষমতায়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। উল্লেখ্য যে, সাবেক এমপি অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তী মহোদয় কলেজটির উন্নয়নে প্রশংসনীয় সহযোগিতা করেছেন। সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও এমপি প্রয়াত আনিছুল হক চৌধুরী মহোদয় সরকারি অর্থায়নে কলেজের দ্বিতল একাডেমিক ভবন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ বিভিন্নভাবে কলেজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সাবেক এমপি জনাব মোহাম্মদ আলী সরকার মহোদয় কলেজের অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক বরাদ্দ দিয়েছেন। সাবেক এমপি জনাব আলহাজ্ব আনিছুল ইসলাম মন্ডল মহোদয়ের উদ্যোগে কলেজের অর্থায়নে একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলা নির্মাণ করা হয়। বর্তমান এমপি ও অত্র কলেজ গভর্ণিং বডির সম্মানিত সভাপতি জনাব আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক) মহোদয়ের উদ্যোগে কলেজের অর্থায়নে তিন তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়, কলেজের সার্বিক উন্নয়নে তিনি অনন্য ভূমিকা রাখছেন এবং তাঁর প্রতিশ্রুত উন্নয়ন কর্মসুচি বাস্তবায়িত হলে কলেজের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে মাইল ফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আমার বিশ্বাস । কলেজ প্রতিষ্ঠায় যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্যে মরহুম আনিছুল হক চৌধুরী (সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও এমপি), গভর্ণিং বডির সদস্য মরহুম আব্দুর রহমান, গভর্ণিং বডির সদস্য মরহুম সাজ্জাদ হোসেন হেনা ও গভর্ণিং বডির সদস্য মরহুম আব্দুর রাজ্জাক, মরহুম আজিজুল হক শাহ, মরহুম শহিদার রহমান, গণিত বিভাগের শিক্ষক মরহুম আবু তালহা মন্ডল নয়ন ও নৈশ প্রহরী মরহুম আফছার আলী মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তাঁদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে যাঁরা অর্থ, শ্রম ও মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছেন তাঁদেরকে বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করছি। কলেজ প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত এ ২৫ বছরে প্রতিটি ঘটনার সাথে আমি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আরও অনেক ঘটনা যা সীমিত পরিসরে উপস্থাপন করা সম্ভব হলো না বিধায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

#

© 2025, Designed & Developed by Sheba Digital Ltd.